ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিজেপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলি;শের ব্যাপক সং;ঘর্ষ হয়েছে। নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা ও হাওড়া- দুই শহরেই খণ্ড খণ্ড সংঘর্ষ বাঁধে। পুলি;শকে লক্ষ্য করে এলোপা;তাড়ি ইট-বৃষ্টি, বো;মা নি;ক্ষে;পের ঘটনাও ঘটেছে।
বিজেপিকর্মীদের কাছ থেকে উ;দ্ধার করা হয় পি;স্তল। জলকামানের সঙ্গে চলে পুলি;শের লাঠি;চার্জ। অনেক জায়গায় পুলি;শের স;ঙ্গে অভিযানকারীদের সঙ্গে ধ;স্তাধ;স্তিও হয়। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা তুলকালাম চলে এই দুই শহরে। কিন্তু অভিযানকারীরা নবান্নের ধারেকা;ছেও পৌঁছাতে পারেনি।
এদিকে অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। জলকামানে রাসায়নিক মেশানোর মতো গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়। বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজ;স্বী সূর্য অভিযোগ করেন, পুলি;শি অত্যাচারে তাদের অন্তত এক হাজার কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। গ্রেফ;তার করা হয়েছে প্রায় ৫০০ জনকে।
তিনি জলকামানে রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ তুলে বলেন, পুলি;শে;র লাঠিচা;র্জে; আমাদের একজন নে;তা বমি করেছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্বরতার সঙ্গে লাঠি;চার্জ করেছে পু;লিশ। জলকামানে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল।
যদিও রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জলকামানে ‘হোলির রং’ ছিল। তার কথায়, জলে হোলির রং মেশানো ছিল। বিশ্বজুড়েই এমনটা করা হয়। বিক্ষো;ভকা;রীরা ভিড়ে মিশে গেলেও, পরে তদন্তের প্রয়োজনে জামার রং দেখে তাদের শনা;ক্ত করা যায়।
বিজেপিকর্মীদের ছোড়া ইটের আ;ঘাতে বহু পুলিশ;কর্মী আ;হত হয়েছেন বলে পা;ল্টা দাবি করেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কলকা;তা পু;লিশ ৮৯ জন এবং হাওড়া পুলিশ ২৪ জন বিক্ষো;ভ;কারীকে আট;ক করেছে।
বিজেপির মিছিল থেকে একটি আগ্নে;য়াস্ত্র উ;দ্ধা;র হয়েছে বলে জানান মুখ্য;সচিব। যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই ব্যক্তি বিজেপির এক নেতার দেহ;র;ক্ষী। তার কাছে ওই পিস্ত;লের লা;ইসেন্স রয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
পু;লিশ জানিয়েছে, জ;ম্মু কাশ্মী;রের রাজৌরি থেকে ওই পিস্ত;লের লাইসে;ন্স নেয়া হয়। গোটা ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে লালবাজার থানা পুলিশ।
এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলি;শি ভূমিকার নিন্দা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, দলের অভিজ্ঞ নেতাদের ওপর বাংলার পুলিশের নৃশংস আচরণের তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের অত্যন্ত বিনী;তভাবেই বলব, পু;লিশ এবং পুলি;শের লাঠি দিয়ে বিজেপিকে রুখতে পার;বেন না আপনারা।
বিজেপির মিছিল ঘিরে বেশকিছু দিন ধরেই উত্তাপ বাড়ছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রাজনীতির। তার মধ্যেই বুধবার হঠাৎ দুদিনের জন্য নবান্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শূন্য নবান্নের উদ্দেশেই এদিন চার জায়গা থেকে হাজার হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মিছিল রওনা হন।
কলকাতার মুরলিধর সেন রোডে বিজেপির সদরদফতর, হেস্টিংসে দলের কার্যালয়, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে মোট চারটি মিছিল বের হয়। কিন্তু নবান্নের ধারেকাছে পৌঁছানো তো দূর-অস্ত, কিছু দূর এগোতেই চার জায়গায় পুলি;শের বাধার মুখে পড়েন বিক্ষো;ভ;কারীরা।
হাওড়া ঢোকার মুখে, ডানকুনিতে ব্যারিকেড বসিয়ে আগে থেকেই বিশাল পুলি;শ বাহিনী মোতায়েন ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল জলকামানও। সেখানে বিক্ষোভকারীদের বাস আটকানো হয়। বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষো;ভ;কারীরা।
তাতে কার্যত অবরু;দ্ধ হয়ে পড়ে রাজ্যের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুলি;শ অবরোধ তুলতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলি;শকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুটে আসতে থাকে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পু;লি;শ।